ভিশন ডেস্ক:
দুর্গাপুজো নিয়ে সোমবারের রায়ে তেমন পরিবর্তন করল না কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত দুটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ সামান্য শিথিল করা হয়েছে। আর তাতেই পুজো মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোন’-এ ঢাকিদের প্রবেশের অনুমতি মিলেছে।
আগের দিনের রায় পুর্নবিবেচনার জন্য ফোরাম অফ দুর্গোৎসবের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। অর্থাৎ মণ্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। আগের মতোই থাকবে ‘নো এন্ট্রি জোন’। সেখানে দর্শনার্থী যেতে না পারলেও থাকতে পারবেন ঢাকিরা। তবে দর্শনার্থীদের মতো তাঁরাও মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। বাইরের ঘেরা জায়গায় তাঁরা ঢাক বাজাতে পারবেন।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘নো এন্ট্রি জোন’-এ প্রবেশ করতে পারবেন ঢাকিরা। তাঁদের যাবতীয় করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে। পরতে হবে মাস্ক। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব। অন্যান্য যাবতীয় সুরক্ষা বিধিও পালন করতে হবে। তবে সিঁদুর খেলা এবং অঞ্জলির অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এছাড়াও নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। আগে ২৫ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে ছোটো মণ্ডপে (৩০০ বর্গমিটারের কম) ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সোমবারের রায়ে ছোটো মণ্ডপে ১৫ জন উদ্যোক্তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
পাশাপাশি উদ্যোক্তারা ছাড়া মণ্ডপে স্থানীয়দের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। আগের কড়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রতিদিন সেই তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। আগে সেই অনুমতি দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।